বাসের ভিতরে

বাসের পাদানি তটে দুটি ইঞ্চি পেয়ে যাই বহু পুণ্যফলে
বিকেল পাঁচটায়
তারপর বিহঙ্গেরা যেমন স্বাধীন, সেরকমই ভিড়ের ভিতরে
যখন যেখানে খুশি যাও,
মানুষ তরল জল, শুধু স্রোতে ভাসা
মহিলা জোয়ার ছেড়ে আরও দূরে দৈনন্দিন সুখ
ডিজেলের কটু গন্ধ, সব ঠিকঠাক।

বুকের বোতাম একটু টুপ করে খসে পড়ে সহসা এবং অকারণ
মনে মনে সর্বনাশ গণি
বোতামের এই খুনসুটি, এই নিরুদ্দেশ অতিশয় ছিরিছাঁদহীন
আমার এমনই ভাগ্য, ঠিক ওরকম আর কখনো পাবো না
খুঁতো হয়ে যাবে সব, এরকমই হয়।
ঠিক যেন জলে ড়ুব দেওয়া-
আমি তৎক্ষণাৎ বসে পড়ি, ব্যস্ত হাতে ধুলো ঘাঁটি
এক সঙ্গে এত পদতল, তার কাছে আমার ব্যাকুল মুখ
অনেকে চমকায় কেউ রেগে ঘোড়া হয়ে লাথি ছোঁড়ে
কেউ বা ভিখারি ভেবে তু-তু করে, কেউ জুতো পালিশ চায় না
কোথায় বোতাম?
কোথায় সে জলস্রোত, কোথায় সে নারী পুরুষের বুকে-বুক মাখামাখি
বাসের ভেতরে এক বাঁশবন, তার মধ্যে এক ডোম কানা।