এক পুলিশের দুই ছেলে
একজন ক্লাশ টেনে, অন্যটি চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছে
একজন জেলখাটা দেশপ্রেমিকের তিন ছেলে মেয়ে
দু’জন এখনও হাবুড়ুবু খাচ্ছে, একজন পাড়ার মস্তান
একজন অধ্যাপকের দুটি সন্তানই বিদেশে
এক রেল খালাসীর পাঁচটি, কে কেথায় আছে, ঠিক নেই
এক আদর্শবাদী মন্ত্রীর সবেধন নীলমণিটি
ফুলে ফেঁপে উঠছে কূট বাণিজ্যে
এক সরকারি কর্মচারীর চকচকে মেয়ের স্বয়ংবর সভায়
নেমন্তন্ন খেয়ে ধন্য ধন্য করে গেল চার হাজার
উপহারদাতা
এক চিনিকল মালিকের ছেলে রোজ মুঠো মুঠো চিনি খায়
আর প্রবন্ধ লেখে দীন দুঃখীদের নিয়ে
ফুটপাথে খেলা করে তিনটে বাচ্চা, তাদের কে মা?
আর কে বাবা?
এক সাহিত্যিকের ছেলে হরদম ওড়াউড়ি করে বিমানে
জনসভায় গলা ফাটাচ্ছেন যে নেতা, তাঁর ছেলেটি বোবা
এক বাড়ির ঝি পোয়াতি, কাকের বাসায় কোকিলের ছানা…
একবার চাকাটা উল্টোপাল্টা ঘুরিয়ে দাও
মাতৃসদনের সব চাক্তিগুলো এলোমেলো হয়ে গেল
মনে করো
পুলিশ ভুল করে গুলি করে মারছে নিজেরই ছেলেকে?
ঘুটে কুড়নীর ছেলে বাণিজ্যের লাইসেন্স পেয়ে গেল
মন্ত্রীর কাছ থেকে?
সরকারি কর্মচারির চকচকে কন্যা যার গলায় মালা দিল নিরিবিলিতে
সে আসলে রেলখালাসীর কনিষ্ঠটি
চিনি খাচ্ছে ফুটপাথের বাচ্চা আর মালিকের ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে
চাকরির
কিংবা
চড়কের মেলায় এই সব ছেলে মেয়েরাই প্রবল ফুর্তিতে
এক সঙ্গে হাত ধরাধরি করে নেচে
চলেছে…