দিগন্ত কি কিছু কাছে

আজ বহু দূর এসে কংক্রিট ছাদের নীচে
সামনে খোলা কবিতার খাতা
আমি সেই কিশোরকে ফের দেখি,
ব’সে আছে নদীর ঢালুতে
আমি দেখি নদীটির পাশ ফেরা,
দুপুরের বর্ণদ্যুতি, বাতাস দ্বিখণ্ড করে
ভেসে ওঠে চিল,
একটু একটু মনখারাপ, কবিতার খাতা
মুড়ে আমি উঠে আসি
বারান্দায়, চুপ
আকাশ অচেনা লাগে, দিগন্ত কি কিছু
কাছে এগিয়ে এসেছে?

[কবিতাটি ‘বাতাসে কিসের ডাক শোনো’ নামের কাব্যগ্রন্থেও রয়েছে যা ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো।]