এই হাত ছুঁয়েছিল

আহা রে সোনার মূর্তিও কি অবিরল ঝরে যাবে
রাত্তিরে, রোদ্দুরে, বৃষ্টিপাতে পরপুরুষের হাতে
স্তনবৃন্ত দুটি কোন খোলা সুইচ? ছুঁয়ে দিলে হাত কেঁপে ওঠে
এই হাত ছুঁয়েছিল বহু কৃমি, বুকে বাঁধা পাশবালিশ, রক্ত, যেন
রক্তের লালায়
লোভহীন ডুবে মরা, এই হাত ছুঁয়েছিল অশ্রুহীন চোখের চিৎকার
এই হাত ছুঁয়েছিল
এই হাত
সুড়ঙ্গের মতো গলি, খুচরো টাকা নিয়ে ছুটে বিদ্যুতের মতো…
পিছনে জুতোর শব্দ, ঘুমন্ত আয়নার মুখে সিগারেট, এই হাত!

বুকের ভিতরে কোনো বাষ্প নেই কুয়াশায় অন্ধকারে তবু দেখা হল
পুরোনো সিন্দুকে যেন লুকোনো গিনির মতো ঝলসে উঠলো চোখ
স্তনবৃন্ত দুটি কোন খোলা সুইচ্, ছুঁয়ে দিলে হাত কেঁপে ওঠে
এই হাতও কেঁপে ওঠে!
ক’ কোটি ডাক্তার আছে পৃথিবীতে। পরশুরামের মতো সবগুলোকে মেরে
ওদের রক্তের হ্রদে বেঁচে উঠতে চাই।
গাছের ছায়ার মতো জ্যোৎস্না এই জ্যোৎস্নার ভিতরে কেউ বেঁচে নেই।
আকাশের নিচে গাছ, আধার পাতার ঝাড়, পাতার ভিতরে স্রোত, সেই
স্রোতের শিরায় নির্মমতা; আপাতত নির্মমতা আঁচল সরিয়ে
বলে, ‘ঐ যে আলো, গোটে দাঁড়ানো মাসতুতো ভাই, আজ তবে যাই?’

যাও, আর কোনোদিন তুমি এক অন্ধকারে গ্ৰীবা
এনো না আমার কাছে, যাও, আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি
বহুক্ষণ থাকবো, আমি কুকুর আটকাবো, যাও, আজ ভয় নেই
আর কোনোদিন নয়। আজ যাও, ভয় নেই, দাঁড়িয়ে রয়েছি।।