‘বেণুবনে’ বয়ে গেল হিল্লোল, আমি শুনতে পেলুম বাঁশঝাড়ে
শরশর আওয়াজ
আহা ‘দখিনা পবন’ তুমি এত স্নিগ্ধতা দিলে এই বিকেলে
কিন্তু কবিতায় আর কোনোদিন তোমার বন্দনা করতে পারবো না
তুমি থেকে যাবে রবীন্দ্রনাথের গানে
এখন কি আর কেউ ‘বিরলে রোদন’ করে না?
দেখতে পাই না, ভাষাও তাকে ভুলে যাচ্ছে
ওলো সই, ওলো সই, সমস্ত মনের কথা শেষ হয়ে গেছে
পঞ্চাশ বছর আগে
কোথায় হারিয়ে গেলে ‘বাতায়ন’?
‘গবাক্ষে’র আড়ালেও কেউ থাকে না ব্যাকুল প্রতীক্ষায়
‘সকরুণ বেণু’ আর বাজবে না কোনোদিন।
তবুও আমি এক একবার পেছন ফিরে
খুব তীব্র ভাবে ফিরিয়ে আনতে চাই
‘মম’ ও ‘মুই’-কে
কিন্তু কলম মানতে চায় না
কলমও তো আর ‘লেখনী’ নেই যে!