কবিতা হয় না

শাশ্বত সত্যের পাশে দাঁড় করাও তো ঐ ন্যাংটো
ভিখিরি বাচ্চাকে
উপনিষদের শ্লোকে ব্যাখ্যা করো গাড়ি বারান্দার নিচে
ফুটপাথে হলুদ খিচুড়ি
ঈশ্বরের কলার চেপে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়
ময়না, দাসপুরে
মরিচঝাঁপিতে গেলে কার্ল মার্কসও বিব্রত হয়ে বলে উঠবেন
হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে!

রুখু মাঠে হঠাৎ অচেনা কোনো মানুষের পাশে এলে
সত্যি মনে হয়
দেশোদ্ধারকারীরা সব পরে আছে উল্টো দিকে জামা
খেতে না-পাওয়া ও পাওয়া এর মধ্যে রয়ে গেছে
শহুরে ব্যাপারীদের শুধু বাক্‌ বিভূতির
তীব্র অপমান
মিথ্যের মিনার গড়া চতুর্দিকে, সজ্ঞান ভণ্ডামি, এর নাম
মানব সভ্যতা।

যদিও কবিতা লিখে কোনোদিন কেউ পারেনি এবং পারবে না
কোনো ব্যবস্থা বদলাতে
কবিরা উন্মার্গগামী, পলাতক, কেউবা চেঁচিয়ে হাততালি পায়
অথবা শিল্পের নামে খোলসে লুকোয়
তবু কেউ সায়াহ্নের ঈষদুষ্ণ কাল্পনিক যুবতীর
চোখ চমকানো রূপ বর্ণনার আগে
অকস্মাৎ রেগে গিয়ে
দু’ একটা চাঁছাছোলা খেদ বাক্য লিখে ফেলে, যা আসলে
বলাই বাহুল্য,
কবিতা হয় না!