কবিতার সার কথা সত্য, অথচ কবিরা সব
মিথ্যুকের একশেষ নয়?
নীরার গলায় আমি কতবার দুলিয়েছি উপমার মণিহার
ভোরবেলা
নীরার দু’হাতে আমি তুলে দিই
শিশির-মাখানো সাদা ফুল
ফলগুলি যাদু-সরঞ্জাম যেন
হঠাৎ অদৃশ্য হতে জানে
কতকাল ফুল ছুঁইনি, আঙুল পোড়ায় সিগারেট!
বিশুদ্ধ পোষাক পরা আমি এক ফুলবাবু
সন্ধেবেলা ফুরফুর বাতাসে
বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মেতে থাকি তর্কে ও উল্লাসে।
সেই আমি মধ্যরাতে কবিতার খাতা খুলে
নির্জন নদীর ধরে একাকী পথিক
হাত দুটি যুক্তি-ছেঁড়া রূপের কাঙাল।
আমার কাঙালপনা দুর্লভ দু’একদিন
নীরাকেও করে তোলে
কিছু দয়াবতী
তীর্থের পুণ্যের মতো সামান্য লাবণ্য ছুঁয়ে দেয়
তীর্থের পূণ্যের মতো? তার চেয়ে কম কিংবা
বেশী নয়?
রত্ন-সিংহাসন আমি এ জন্মে দেখিনি একটাও
তবুও নারীর জন্য বৈদুর্যমণির সিংহাসন আমি
পেতে রাখি
যদি সে কখানো আসে, সেখানে সে বসবে না
জলে-ভেজা একটি পা
শুধু তুলে দেবে!
মিথ্যে নয়,
নীরা তুমি দেখো, সে রকমই সাজানো রয়েছে।।