অন্য ভাষায় কথা বলে

নাম জিজ্ঞেস করলে বলে, সকাল কিংবা রোদ্দুর
সেই ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে
তেঁতুল গাছের তলায়
পুঁচকে ছেলে, ন-দশ বছর, ভয় ডর নেই চোখে
হাফ প্যান্টুল, সারা গা খালি,
পুঁতির মালা গলায়।

এ ছেলেটা কাদের বাড়ির? একলা কেন এল?
কোথায় যাবে তাও জানো না
মুচকি হাসি ঠোঁটে
ঠিকানা জানিস? মাথা দুলিয়ে বলল, ভূগোল বই
খুব শক্ত, পড়েছি আমি
তিনটে পাতা মোটে!

বাবা কে তোর? চোখ কুঁচকে ভারিক্কি ভঙ্গিতে
জানাল সে, সবাই জানে,
আষাঢ় মাসের মেঘ
ভাই বোন নেই? আছে আছে, পারুল আর চম্পা
বোঝা যায় না কিছুই শুধু
বাড়ায় উদ্বেগ!

কোন রাস্তায় এলি রে তুই? বলল, খুব ঢেউ
খিদে পায়নি? কী খেতে চাস?
বলল, ফুলের গন্ধ
গায়ে জামা নেই, শীত করে না? দেখিয়ে দিল মালা
এখান থেকে কোথায় যাবি!
বলল, স্কুল বন্ধ।

ঐ ছেলেটার কথা শুনলে ঠিক মনে হয় ধাঁধা
আমরা সবাই একটা কথার এক মানেতে বাঁধা।