প্রথম লাইন

‘চক্ষুলজ্জা’ শব্দটি লিখে, একটু ভেবে, আবার কেটে দিই
কেন লিখেছিলাম, নিজেই জানি না
তারপর, শুধুই ‘চক্ষু’ লিখে, একটুক্ষণ থমকে থাকি,
সেটিকে ঘিরে এঁকে দিই একটি দুর্বল ধনুক
যেন কলমে কালি আসছে না, এইভাবে পাতা জোড়া
আঁকাবাঁকা রেখা

নিজের নাম দিয়ে স্বেচ্ছাচার…
তারপর পাতা উল্টে যাই!
পরের পৃষ্ঠার শুভ্র নগ্নতার কাছে কিছুক্ষণ প্রতীক্ষা
যেন আমি বাজবরণ আঠার সঙ্গে কিছু একটা
উপমা খুঁজছি
যেন বিমান-বন্দর নিঃশব্দ, অথচ কারুর আসার কথা
ছিল এই সময়

যেন বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে প্রতিমার রং
পুরোহিত ধরা পড়েছে খুনের দায়ে…
একটুক্ষণ আনমনা
বাইরের কোনো শব্দ মনোযোগ কেড়ে নেয়
হাতের কলম নিজে থেকেই লেখে, ‘ভালোবাসা’
আমি তার সঙ্গে ‘র’ যোগ করি,
নিজের শূন্য বাঁ ও ডান পাশের দিকে
একবার দেখে নিই দ্রুত
কেউ নেই, পৃথিবী সম্পূর্ণ নির্জন
তখন প্রথম লাইনটি লিখতে আমার আর একটুও
অসুবিধে হয় না:
‘ভালোবাসার পাশেই একটা অসুখ শুয়ে আছে…’