সপত্নী

তুমি কবিতার শত্ৰু– কবিতার মদির সৌরভ
মুহূর্তেই মুছে যায়– তুমি এলে আমার এ ঘরে
থাকে শুধু যৌবনের যন্ত্রণার তীব্র অনুভব
বৃষ্টির মতন ঝরে অন্ধকার– সমস্ত অন্তরে।
আমাকে নিষ্ঠুর হাতে ছিন্ন করে নাও তুমি এসে
সমস্ত পৃথিবী থেকে তোমার আপন পৃথিবীতে
নিজেকে নিঃশেষ করে দিতে সাধ হয় ভালোবেসে
কবিতার শেষ শিখা মুছে যায় কখন নিভৃতে।

তুমি চলে গেলে দূরে সূর্যমুখী ঊষার মতন
ফিরে আসে অন্য সখী, কবিতা, আমার এই ঘরে
শূন্যের আশ্রয় থেকে তুলে নেয় মায়াবী সংসার ভীরু মন
সে আমার যন্ত্রণাকে আনন্দের স্বাদে সিক্ত করে।
কাব্যের সপত্নী তুমি, তুমি তাকে চাও না অন্তরে
সে তবু আমার মনে তোমারই স্বপ্নের মূর্তি গড়ে।