স্মৃতির শহর ২০

কফি হাউসে বসে আমরা একটা পাহাড় ভেঙে পড়ার
শব্দ পাই
আকাশে লাল ধুলো…

পয়ারে ন’ মাত্রার পর্ব হয় কি না এই নিয়ে
টেবিল চাপড়ানো তর্ক হঠাৎ থেমে যায়
একটা বারুদ-রঙা নিস্তব্ধতা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়
আমরা সকলেই ভাঙনের প্রবক্তা, ধ্বংসেই আমাদের উল্লাস
ঈশ্বর থেকে সুধীন্দ্রনাথ-বুদ্ধদেব বসুর ছন্দ পর্যন্ত
আমরা ভাঙতে ভাঙতে এসেছি
কৃষ্ণনগরের পুতুলের মতন আমরা ভেঙেছি বাবা ও মাকে
প্রেমকে ভেঙেছি অতিরিক্ত শরীর মিশিয়ে
শরীরকে ভেঙেছি আত্মহননের নেশায়
দেশকে যারা ভেঙেছে আমরা মহানন্দে ভেঙেছি তাদের ভাবমূর্তি
কাচের গেলাস ভাঙার মতন সুমধুর শব্দে
আমাদের পায়ের তলায় গুঁড়ো হয়েছে এক-একটা মূল্যবোধ
কিন্তু কলেজ স্ট্রিটের এই পাহাড়টি ভাঙা
আমরা সহ্য করতে পারি না, সহ্য করতে পারি না
প্রসন্নকুমার ঠাকুরের মূর্তির মতন আমাদের মুখেও ম্লান ছায়া
শুধু রাগ ঝলসে ওঠে পূর্ণেন্দু পত্রীর মুখে
ছবির সরঞ্জাম নিয়ে সে উড়ে যায় আকাশে
ক্যামেরার লেন্সে লেগে থাকে তার চোখের জল।