তিন ঘণ্টা বিচ্ছেদ

ভালোবাসা ছিল কাল সন্ধেবেলা, এখন দুপুরে একটু বিরক্ত লাগছে
তা হলে মাঝরাত অবধি আমাদের ভালোবাসা থাক না মুলতবি!
কিছুক্ষণ দু’জনেই দূরে থাকি,
তুমি যাও ফিলমে কিংবা রেস্তোরাঁয় বা সখী-সম্মেলনে,–
অথবা বাথরুমে গিয়ে গান গাও;
তিন ঘণ্টা কাটাবো। আমি অন্য জায়গায়,
তুমি যাও,
না, চোখে থাকবে না নেশা অথবা ক্লান্ত হবো না
খুব ভালোবাসবো রাত্রে শুয়ে।

এ বাড়ি নিলাম হবে যেন কাল,
এই খাট, আলনা ঠোঁট, বুক আলমারি
যেন কাল থাকবে না–এই ভেবে এ কি মারাত্মক আঁকড়ে থাকা।
শরীরের নোনতা ঘাম, চুম্বনের এঁটো থুতু সারাক্ষণ স্বাস্থ্যকর নয়।
সন্ধ্যার আকাশ থাক,
দেখবো না পথে পথে নতমুখে মানুষের শোভা
একবার তবুও বাইরে;–নির্বোধ হুল্লোড় এত চতুর্দিকে
এর মধ্যে কিছু কি আনন্দ
খুঁটে তোলা যায় না? কিংবা দেখা যাক না একলা থাকতে কী রকম লাগে–
কোথাও মানুষ আজ একা নেই,
যেন সাইরেনের শব্দে সকলেই হুড়োহুড়ি করে
এক ঘরে কাটাচ্ছে দিন, বুকের মধ্যেও একটু জায়গা নেই।

অন্ধকার সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে পুনশ্চ সিঁড়ির
উপরে তাকিয়ে দেখি, কোন এক অশরীরী পঙ্গু নিশাচর
হাহাকারে কান ধরে টেনে রাখে;
সন্ধেবেলা কোথাকার তালাবন্ধ সদর দরজার
সামনে দাঁড়িয়ে আমি? তা হলে কি ফিরে যাবো
খাটের নিচের নিরালায়
শার্ট প্যান্ট এবং শরীরখানা খুলে রেখে বলে উঠবো আমি:
বহুদিন কথা হয়নি, ঝিনুকের মধ্যে তুমি কী রকম রয়েছে ভ্ৰমর?