ভয়

আমাকে কেউ মাঠ পার হতে দেয়নি, যতবার দৌড়ে গেছি মাঝপথে
এমন আচমকা কাপড় ধরে টেনেছে ওরা, ভয় দেখিয়েছে
সামনের গর্তে লম্বা হয়ে শুয়ে আছে চিতাবাঘ, অথবা
অশ্বথের গায়ে পেঁচিয়ে আছে হলুদ চন্দ্ৰবােড়া

আমি একটি অমল বালিকা, এত কেঁদেছি
মাঠের ওপারে ছিল রানিপুকুর, কৃষ্ণচূড়ার বাগান
মাঠের ওপারে ছিল ধবল পায়রার ঝাঁক, প্রজাপতি
মাঠের ওপারে ছিল সাদা সাদা হঠাৎ নক্ষত্রের মতাে একশাে জোনাকি।

দৈত্য-দানাের গল্প শুনে ঘুমিয়েছি, স্বপ্নের ভেতরে নীল রং ঘুড়ির বদলে
দেখি শাকচুন্নির পা, খােক্কসের দেশ।

বড় হতে হতে এখন কত বড় হয়ে গেছি
আমাকে তবু এক চিলতে ঘর পেরােতে দেয় না ওরা
এখন আর স্বপ্নে নয়, জেগেও দেখি চন্দ্ৰবােড়া সাপ
দেখি শুয়ােপােকা, রাক্ষসের ঘর, বুনাে মােষ

ঘর পেরিয়ে আমার আর আকাশ দেখা হয় না।