চাই বিশুদ্ধ বাতাস

ক্রমশ বাড়ছে খুব নিশ্বাসের কষ্টগুলাে, প্রগাঢ় বিষাদ
ভেতরে ভাঙচুর শেষে নিভৃত কবাট খুলে প্রাঙ্গণে দাঁড়াই
জোস্নার শরীর ঘিরে উন্মথিত হাওয়া নাচে ভরতনাট্যম
বুকের গহীনে তাকে প্রাণভরে পেতে এই দু’হাত বাড়াই।

বাতাসে ফুলের ঘ্রাণ, পাখির কুজন নাকি কেউ কেউ পায়
লাশের চৌদিক জুড়ে আমি শুধু শকুনের হর্ষধ্বনি শুনি
বুট ও বুলেট সহ জলপাই রঙের ট্রাক ঊর্ধ্বশ্বাসে ছােটে
এক দুই তিন করে সহস্র লাশের গন্ধ সংগােপনে গুনি।

কারো ঘরে ভাত নেই, কারো কারো ঘর নেই, চূড়ান্ত অভাব
বাতাসে কষ্টের ঘ্রাণ পশ্চিম ও ঈশানের কোণ থেকে আসে
কারো কারো ঘর থেকে সম্পদের ঘ্রাণ আসে, আমােদিত হাওয়া
প্রবল বাতাসে তবু ক্রন্দনের শব্দ আর হাহাকার ভাসে।

সুখের সৌরভমাখা মাটি ও শস্যের ঘ্রাণ, ফুলের সুবাস
উত্তরে ও পুবে নেই, দক্ষিণে কোথাও নেই নিশ্বাসের হাওয়া
কণ্ঠনালি চেপে আছে লােমশ নৃশংস হাত, কালাে এক হাত
এই হাত ছিড়ে ফেড়ে বিশুদ্ধ বাতাসটুকু হবে না কি পাওয়া?

(গ্রন্থঃ শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা)