আমাদের কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধারা

[কমো’তে যিনি এক বছর, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহকে শ্রদ্ধা]

আমাদের কৃতজ্ঞতাগুলো আমরা কোমা’তে নিয়ে গেছি
আমাদের শ্রদ্ধাগুলোকে আমরা কোমা’তে নিয়ে গেছি
আমাদের মূল্যবোধগুলোকে আমরা কোমা’তে নিয়ে গেছি
আমাদের অগ্রজদের আমরা কোমা’তে নিয়ে গেছি
আমরা এখন কোথায় দাঁড়িয়েছি?

আমাদের পথ তৈরী করে দিয়েছেন যাঁরা
তাদের আমরা আজ কোথায় রেখে এসেছি
আমাদের বন্ধুর পথে যারা এ্যাসফল্‌ট বিছিয়ে দিয়েছিলেন
তাঁদের আমরা কোনো তোরণ নির্মাণ করে দিতে পারি নি,
কোনো পুষ্প-উদ্যানভরা জ্যোৎস্নার ঢেউ
শুধু বারুদ-গন্ধভরা কিছু অশুভ রাজনীতির রশ্মি পতন,-
তারুণ্যের নামে কিছু বেয়াড়া শব্দ-উচ্চারণ।

যাঁরা কবিতা ভালোবাসেন
তাঁরা কি করে আদর্শের দায়ে কবিকে নির্বাসনে পাঠান
যারা কবিতা ভালোবাসেন
তারা কবি হয়ে কি করে মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসিতে ঝোলান
যারা কবিতা ভালোবাসেন
তারা কি করে মায়ের সন্তান হয়ে
অন্য মায়ের সন্তানের বুকে রক্ত ঝরান?

যে কবি কবিতাকে ভালোবাসে
কিংবদন্তীর কথা, কুমড়ো ফুলের কথা
মায়ের হারানো সাতনরি হারের কথা,
অশ্রুময় মাতৃভাষার কথা বলে যেতে চান
তাঁকে কেন আমরা আজ কোমা’র জীবনে নিয়ে এলাম,
কবিতাকে থামিয়ে দিলাম?

আমরা আজ কোথায় এসে দাঁড়ালাম?
আমাদের কবিতার কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধারা এখন কোথায়?
কোথায় আমাদের পূর্বপুরুষেরা?
তবে কি আমরা আর কিংবদন্তীর কথা শুনতে পাবো না?