আরো কিছু

গতায়ু রাত্রির শিয়রে বসে ঘুম দেখি
তোমার ঘুম, আমার সাফল্যহীন নির্ঘুম
তোমার পূর্ণ-রজনীকে কেন বালক বয়স আমার
করে তোলে একান্ত নিজের
নির্বোধ নিজের রজনীকে কেন পৌরুষের আর্তিতে নিয়ে যায়
কেন জাগরণ ওঠে পদ্য-চিত্রে, তোমার শরীর কাব্যের অনন্ত উষ্ণতায়
আমি ডুবে যাই ডুবে যেতে থাকি
ক্লান্তিহীন পাঠকের পঙ্‌ক্তিতে
তোমার ঘুমন্ত চোখ ছুঁয়ে দেখতে চাই আমার বিদ্যুৎহীন ঠোঁট
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা নাক, ফ্লোরোসেন্ট আলো পড়া চিবুক
চর্বণ কিনা চুম্বনের দাগ, স্তনের ওপরে একার
কারুবিঘ্ন বিষ-লাল আঁচড়
কিন্তু চোখের ওপরে আলো-রোধক মেরুন টাওয়েলের বিন্যাস নিয়ে
বাঁকা চাঁদ যেন শুয়ে আছো হরপ্পা নগরীর ধ্বংসাবসানের আগে
যেন কিছুই আর দেখতে পাবে না তুমি
এখন তোমার ক্লান্তির সমস্ত মুদ্রিত চিত্রণ কেবলই ঘুমন্ত
কিংবা তন্দ্রায় নিমগ্ন স্বপ্নের কাছাকাছি
তৃপ্তিহীন নেফারতিতির ভূমিকায়
তুমি যুগ যুগ ধরে কামার্ত এবং তৃষ্ণার ঘুমে ডুবু ডুবু
আমার চারপাশে সোফায় কিংবা সিংহাসনে
তবু তোমার ঘুম উপেক্ষা করে গেল কিনা আমাকেই
না আমার অপারগ অঞ্জলি থামিয়ে
কারা যেন আমাদের প্রেম-বৈধতার পারে
বলে গেলো, আমরা কি এ সাধারণ কথা বলতে পারি না?
এ যুগের কাছে যা সত্যের স্কুল-ধ্বনি
প্লবিত শয্যার কাছে যাদের একাগ্র মগন
কেন তা যোজন যোজন দূরে দূরগামী শীতলে আরো শীতল
বৈধতার প্রশ্নে-
তাহাদের মনে হয় ‘ভালোবাসা’ শব্দটি
অনিচ্ছুক একটি উচ্চারণ
অশোধিত শরীরের একটি অংশ
ভেঙে ভেঙে যাওয়া সৃজনের ঢেউ
যেখানে আর্ত-পুরুষের একমাত্র শোধন সময়
শুধু কামগন্ধী চলাচল নয়, আরো কিছু …
আরো কিছু নিবেদন।