গৃহপালিত পদ্যেরা- এক

আহারে অভ্যাসে সে বড় ঘরোয়া প্রাণীর
অভ্যন্তরে রাখে শব্দ-ধ্বনি, পদ্যপ্রণালীর শ্রমে
বাড়ে দেহ-পল্লব, গৃহ-পরাগের অকুণ্ঠ মিলনে
নাদুস-নুদুস উঠে আসে সাবলীল ভোর, সচল সন্ন্যাসহীন
শব্দ-সুন্দরের প্রতিমা ফোটায় আত্ম-রচিতার ফুল।

সে কি গৃহপালিতের মালি, গৃহবন্দি জ্যোৎস্নায় দেখা
পঙ্‌ক্তিময় শব্দের রাজহাঁস শোভা, গর্ভ-গৃহীর কাননে ফোটা
পালিত কবিতার মুখ, অহিংস আক্ষরিক ফুল-বোল?

আদরে অন্দরে ঘোরে গৃহপালিতের মালি নয়,
কবি বলে রাজা, হাতে নিয়ে দুগ্ধবাটি কবিতার আহার্যে চুক চুক
চুমুকের ধ্বনিত কল্লোল তুলে দেয় শব্দ-প্রজাতির মুখে
কবিতারা কখনো কি নেমেছিল পথে
অথবা লঙ্ঘনকারী পৃথিবীর আন্ত-সীমানা!

আসলে আমরা সকলেই গৃহপালিত পদ্যেরা,
আহারে অভ্যাসে বেড়ে উঠি একান্ত ঘরোয়া-প্রাকৃত
কেউ কেউ পোশাকের আগামী বিবর্তন স্বভাব খোঁজে
আন্ত-মহাদেশীয় পদ্যমালা।

কিন্তু কবি এক গৃহপালিতের রাজা
মানুষ এক গৃহপালিতের প্রজনন-ভ্রূণ
কবিতা এক সতীর্থ-প্রজা, গৃহপালিতের।