জল-বিদ্যুৎ আলো

আমার হাতের টিস্যু পারেনি চুষে নিতে
তোমার চোখের গড়িয়ে পড়া জল
বড় বেদনার্ত দু’ চোখের জলরাশি দেখে
আমি বাধ হ’তে পারিনি সেদিন
এ মনস্তাপ নিয়ে আজো হাতের টিস্যু
রাতের ঘুমহীন চাদর হয়, কখনো বা কাফন
এ সন্তাপে মেঘে ডুবে যায় চাঁদ, জ্যোৎস্নাবিহীন।

চির সবুজের রূপসী তুমি
পুরানো হবে না জানি কোনোদিন নিমগ্ন বিশ্বাসে
তোমার শরীরে ঝরে পড়বে কুয়াশার ঘাম
মুছে দেবে সকালের কাঁচা-রোদ সুখের টাওয়েলে
স্বর্ণাভ শরীরের প্রান্তর ছুঁয়ে চিক চিক করবে রোঁয়া
ফসলের ডাক শুনে ছুটে যাবে শ্যামল নাগর।

কিসের দুঃখ তোমার?
আমি তো দেখিনি কখনো, লোকে বলে
চাঁদের কলঙ্ক আছে তবু দেয় জ্যোৎস্নার আলো
আমি সেই আলো চাই তোমার দু’ চোখ ভরা আলো
জল নয়, জল-বিদ্যুৎ আলো
কে তোমাকে দখলে নেবে নিন্দা আর পিশাচী থাবায়
তুমি সার্বভৌম প্রকৃতি আমার, সুন্দরের
সবুজ মানচিত্র, অবিনশ্বর আলো।