কাটা মাছের থলে

কাটা মাছের থলে হাতে তোমার সান্নিধ্যে যাবো-
যাবো কি যাবো না তুমি আজ বলতে পারো না; আমিও না
তোমার ঘরে যে সান্ধ্য-অতিথির চায়ের কাপের ধোঁয়া ওড়ে আরতিতে
আজ তা আমার বুকের গভীরে পাক খায় মধ্যরাতে, দুপুরে ফের সন্ধ্যায়।

শরীরে কাটা মাছের রক্তের কারুকাজ নিয়ে ঘরে ফিরি অস্থির পায়ে
নিজেকে টুকরো করি বিবিধ পরিমাপের খাদে
আবার কখনো জোড়া দিতে চাই হৃদয়ের বিভক্ত আমিষ সময়
যা যায় তা কি কখনো জোড়া লাগে কোনো ঋদ্ধ আবেগে?
যেমন সময় হারালে আর সময় জোটে না
আমাদের স্মলিত সময় এখনো হারায় নি, থমকে গেছে
জড়বস্তু হয়ে সময় সরে নি, জড়ো হয়ে আছে
কোথায় যেন মধ্যশূন্যতা পড়ে আছে নড়ানোর, সরানোর
তাই কোথাও কোনো টান নেই শুধু হৃদয়ের জমাট উচাটন।

তুমি বলছো একদিন সময় সব বলে দেবে-
আসলে সময় বলে না, বদলে দেয়

আমাদের সবকিছু পাল্টাতে হলে কথার নাটকীয় রূপটান;
-দাবী থেকে যায়
তুমি না বলেও পাল্টাতে পারো আত্মগত প্রয়োজনে
স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের শরীরেও না বলা কথার চাকা, গতির চিহ্ন
কিন্তু তোমার না বলা টেলিফোনের কথামালা
শুধু হিমায়িত শুধু চুপচাপ, শোঁ শোঁ
যেন দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত নেবার আয়োজন ইথারেও আহ্বান করে
একমুখে সহাস্য শব্দ নিয়ে কথার মটরযানে চলা
অন্যমুখে রিক্সার হুড তোলা বাকহীন ছায়া-ছলনার নীল দোলা
আমাকে কিছুই না বলা,-
এই দ্বৈত বলা আর কথার পথে আমার নিঃসঙ্গ বাড়ি ফেরা
থলেতে কাটা মাছের রক্ত নিয়ে
হৃদয়ের মীমাংসিত সত্যে, মরুপথে আজীবন নক্সায় বীজ-বোনা।