কবির ঠিকানা

কবিতা ছাড়া কবির কোনো ঠিকানা থাকে না
শেষ গন্তব্যে থাকে শুধু আঞ্জুমান-ই-মফিদুল ইসলাম

কবিকে সনাক্ত করবে কারা?
ভবঘুরে সময় না ছিন্ন-জীবনের ছন্নছাড়া পৃষ্ঠা
শব্দের ঠিকানা আর মৃত্যুর হরফে যিনি লিখে যান
প্রকৃতির অভ্যস্ত কবিতার সংসার
ঘরহীন, ভালোবাসাহীন মানুষের গান খুঁজে খুঁজে
যিনি নিজেও ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেন, নিজের ঠিকানা
তিনি মহাশূন্যের এক নিঃসঙ্গ গোলকে থাকেন
তার পাশে পড়ে থাকে কিছু গ্রন্থের সশব্দ যাপন
আর অসামাজিক পোশাকের কিছু অমিত ফ্যাশন
কে ছোঁবে তাকে কথিত সামাজিক পরিচ্ছন্ন আদলে
কার ঘরে ঠাঁই পাবে শর্তহীন
মাঝরাতের প্রহর ডিঙানো চৌকাঠ?

এ সমাজ কবিকে রাখবে কোথায়?
পরিত্যক্ত ট্রেনের বগিতে, সোহরাওয়ার্দী’র উন্মুক্ত উদ্যানে
সংসদ ভবনের সিঁড়িতে না ভাসমান লঞ্চের কেবিনে
নিরর্থক সাড়ে তিন হাত জমির বরাদ্দ কে দেবে তাকে,
ঠিকানার নিশ্চিত ভালোবাসা?
বিগত হোল্ডিং নাম্বার ছুঁয়ে কারা যেন ফিরে ফিরে যায়।

কবিতা ছাড়া কবির কোনো ঠিকানা থাকে না
শেষ গন্তব্যে থাকে শুধু আঞ্জুমান-ই-মফিদুল ইসলাম।