অমৃত-লালায় তুমি

অদ্ভুত একাকিত্বে আমিও থাকি
অর্থহীন সম্পর্ক ছেদনের ভাষা আমারও জানা
শুধু তোমার এমন মনোভঙ্গি
এখনো আয়ত্ত করতে পারিনি আমি
আর পারবো না হয়তো কোনোদিন
নিরর্থক অজুহাত অথবা অজুহাতহীন
তোমার অন্তর্ধান বড়ই নিলাম ওঠায় অন্তরে
সেলফোনে বার বার রিং দিলেও নির্লিপ্ত তুমি
যেন আমার জন্যেই তোমার জীবন
ব্যবধান গুছিয়ে চলেছ নিরাকার।

এও ব্যাধি যেমন সিরাপেও ঢোক গিলে
নিজের একাকিত্বের খিলে
শুধুই তোমার নাম
দেয়ালের জপমালা ঝরে পড়ে
ঘরে ঘরে তৈরি হয় বিরহ-সাম্পান
জলহীন তৃষ্ণা ডাকে চরাচর।

যাকে ভালোবাসি তার অবহেলা ভালো লাগে
একথা শোনে যেন অমৃত লাল
লালার মধ্যেও অমৃত থাকে, জিভের ডগায় শব্দ ভাসে
তাও আবার কষ্ট-লালার শব্দ
শব্দামৃত পাওয়ার জন্যে আমার বয়স বাড়ে না
আমি বয়সের কাছে মানি না হার
হার মানি ঐ শ্যামা তরুণীর কাছে
যে আমার অহংকারকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারে
আমি বাঁচি তার মধ্যে, শূন্য-গহ্বরে, মন-শ্মশানের অগ্নিতে

আমার ভস্ম মাখি আমি
কখনো মহাদেব হয়ে তোমাকে থামাতে
এই বিনাশী খেলা থেকে, পার্বতীর ছায়ায় নয়
ওহে শ্যামা মহামায়া- তোমার রক্তাক্ত মায়ায় আমি
ভালোবাসাকে পাঠাই রাহুর মুখে
অতলান্তিকে আরো অতলান্তিকে
আবারো ভাসি ভালোবাসার বলিপ্রার্থী হাঁস
তুমি তরুণ-পানকৌড়ির জীবন পানসির হাতে
যখনই আবার নিজ হাতে তুলে নাও, তুলে দাও ঘূর্ণন হাত
অন্যের হাতে
তখনই আমি হই এক অদ্ভুত একাকিত্বের লৌকিক আসামী।