ব্যক্তিগত

হিতৈষী মহল থেকে বহুবার শোনা গিয়েছিল
আমার সম্মুখে নাকি বিরল সৌভাগ্য-সম্ভাবনা
অর্থাৎ অজিত পাপে,
মোটা নোক্রি,
টাকা,
পার্ক সার্কাসের বাড়ী;
ধনী কন্যা প্রমোদ-সঙ্গিনী।
কিন্তু সময়ের চক্রে অকালে যখন
নিভলো তাদের আশা তখন আমার ভীমরতি
(অকালে, কুম্মাণ্ড দলে ভ্যাগাবণ্ড)! আমি
আদর্শের ফালি নিয়ে ফিরি ফুটপাতে।
পার্ক সার্কাসের সাথে মেলাতে বাধে না
হাভিয়ার কোন পল্লী;
পুঁজিবাদী পুঁজ
যেহেতু জমানো দেখি উক্ত ডাস্টবিনে
(যদিও সজ্জিত আহা বিচিত্র ভূষায়)!
দুর্মর তাকিদ আসে
পার্শ্ববর্তী বস্তি থেকে তবু;
‘ইতরের’ মধ্যে আমি
খুঁজে ফিরি সত্তা মানুষের
ক্ষুধিত প্রাণীর শ্বাসে
মেশায়ে নিজের দীর্ঘশ্বাস
আদর্শের পন্থা কতো দুরারোহ বুঝি প্রতি পা’য়!

দিনরাত্রি চেয়ে দেখি বিপক্ষে আমার
অগণন ফেরাউন- কারুণের ব্যুহ,
দেখি চেয়ে শড়কের
প্রতি প্রান্তে অসহায় বনি-ইস্রাইল
তেমনি সন্ধান করে মুসা কালীমের,
সারা পথ কেঁপে ওঠে বন্দী বেদনায়…
মজলুমের লোহুধারে ভেসে যায়

পৃথিবী তেমনি..
সংগ্রাম-বিধ্বস্ত মন ভুলে যেয়ে সংঘাতের গ্লানি
জেগে ওঠে দিকে দিকে সর্বগ্রাসী আসন্ন জেহাদে,
মুসা কালীমের খোঁজে সেনানী যে নির্ভীক সত্যের।।