বুলিওয়ালা

তুমি তো জেগেছ রাত ঢেউ তুলে চা’র পেয়ালায়
আউড়িয়ে বহু তত্ত্ব মোয়া-সুদুর্গম পুঁথি হ’তে;
আমরাও ভেসে গেছি সেই তোড়ে বিপ্লবের স্রোতে
দেখিনি অজ্ঞাতে কার মুখ ভেসে ওঠে জানালায়;
দেখিনি ঘরের সাথী মরে কোন বিভ্রান্ত ক্ষুধায়;
কেননা তাতে যে ক্ষতি বিশেষত ওস্তাদীর বেলা
(পণ্ডিত সমাজে বসি হতে হয় নিঃসঙ্গ একেলা)
বুলি আওড়ানো স্বপ্ন মেশে পরিহাস সাহারায়।

তাই ইচ্ছা থাকলেও তোমাদের দল ছেড়ে দূরে
আমাকে কাটাতে হ’ল পুঁথি গণনার সদাচারে-
আমার ক্লীবত্ব হেতু বাঁশী যদি বাজেও বে-সুরে
বিপ্লবের থালা পূর্ণ ক’রে যাব ষোল উপচারে।
এ কারণে বন্ধুবৰ্গ বৈপ্লবিক পন্থা অনুসরি
হয়েছি বুলির কুলি, ঝাঁকা ঝাঁকা বুলি ব’য়ে মরি।।