দস্তুরি

শোনো প্রকাশ্যে দর কষাকষি বিপজ্জনক
তার চেয়ে চলো নয়া কৃষ্টির সীমা নিরূপক
শুঁড়িখানাতেই, ভাঙা ডানাতেই লাগাও পালক,
উড়বো রঙিন নেশায়! লজ্জা? নও তো বালক!
ভয় শুধু ঐ কর্মীকে দেখে নয়া জামাতের,
খাঁটি ইস্লামী আদর্শ খোঁজে রক্তে বুকের,
একটু দূরেই চলো তবে যাই। হই নিরাপদ।
শোনো এই বার, কল্পলোকের দামী মসনদ
বিক্রি হবেই, উচ্চ দরেই (কি আর উপায়),
খদ্দের আছে অনেক ভেবো না ধরব দু’ পায়),
করতে এসেছি রোজগার, তাই করছি দালালি
(নিমকহালাল নও, করব না নিমকহালালি)
প্রথামত নেব পাওনাগণ্ডা আজকে ভোরেই,
যদি কিছু তুমি পেয়ে যাও, পাবে টাকার জোরেই।
(ডাহিন বা বাম) নিষ্কাম নন এরা অনেকেই
প্রগতিবাদীরা প্রতিক্রিয়ায় ঘেরা অনেকেই,
ব্যূহ ভেদ যদি করতেই চাও মুদ্রা ছড়াও,
করো আয়োজন পার্টির, ঘরে ডেগটি চড়াও,
কিছু চাঁদা দান করো অম্লান, প্রশান্ত মুখ,
দেখবে ভাগ্য নয়কো তোমার মোটেই বিমূখ।

কেন ভয় পাও? খরচ করতে কি হেতু ডরাও?
বলছি যা শোনো আমাদের ভুঁড়ি আগাম ভরাও,
তারপর দেখো তোমার ভুঁড়িতে, প্রিয়ার চুড়িতে
বাজবে এমন সুর,- থামে না যা পাথরে: নুড়িতে।

মোগ্‌লাই খানা? সে তো অবশ্য হামেশা খাবেই!
হুরপরী চাও? অভাব কি তার, হামেশা পাবেই!
অবরোধ নামে পর্দা, আদব করেছি তো দূর,
নাম-ভূমিকায় নামবে সহজে মানুষ পশুর।

তাহলে রইল কথা সোয়া লাখ (দু’ চার ছটাক
বিলাতী সঙ্গে); পেটাবো তবেই জোরে জয়াটাক!

আমরা দালাল; হারাম হালাল করি না বিচার,
চাষ ক’রে ফিরি সব অন্দর, সকল বাজার,
যেখানে মধুর শর্ত সেখানে করি আনাগোনা,
বড় খুশী আজ হয়েছি, কারণ হ’ল জানাশোনা।
এখন তা’হলে উঠে পড়ি আগে কিছু অকালেই,
আদাব আরজ,- দেখা হবে ফের কাল সকালেই।।