হাতঘড়ি/এক

রাত্রির স্তব্ধতা ভেঙে নেমে এল দিনের প্রস্বর
অপূর্ব সুষমা-দীপ্ত সূর্যের সোনালী তন্তু বেয়ে;
আশ্চর্য ক্ষিপ্রতা নিয়ে নিমেষে ফেলিল বন ছেয়ে;
শেষ হ’ল অন্ধকার! এল দিন – সূর্যের স্বাক্ষর!

এখন পৃথিবী এই আর নয় নৈঃশব্দ্যের ঘর,
পাখীরা চলেছে উড়ে সুদূর মাঠের ডাক শুনে
খুঁটে নিতে দানাপানি (জীবনের প্রদীপ্ত আগুনে
উৎসাহী) – আকাশ নীলে ওরা পক্ষে করেছে নির্ভর।

তবু এক অন্ধকার জেগে আছে দুচোখে আমার,
সে আঁধার কত কালো, কত গাঢ় তুমি তা জানো না
(জটিল চিন্তার মত সে আঁধার তিক্ত বেদনার
ফরহাদের তিক্ত মনে – এঁকে দেয় মরণ যন্ত্রণা)!
মৃত্যু কি বিস্মৃতি আনে? এ জীবন দেয় কি সান্ত্বনা
পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্বে, সংশয়িত দিন কাটে যার।।