যন্ত্র

নিপুণ যন্ত্রের মত জন্মের প্রথম ক্ষণ থেকে
চলেছে মৃত্যুর পথে সাবলীল গতি। কেঁদেছে সে,
হেসেছে সে। উঠেছে, ব’সেছে আর দেশ থেকে দেশে
ছুটেছে ঝড়ের মত সকল সড়ক এঁকেবেঁকে;
অথচ চলার চিহ্ন কোনখানে যায়নি সে রেখে!
যেমন ভোরের রঙ মিশে যায় বিস্মৃত নিমেষে,
থাকে না ঝড়ের চিহ্ন যেমন বনের কালো কেশে;
তেমনি সে গেছে তার জীবনের কাহিনীকে ঢেকে।

এখন সন্ধ্যার স্রোতে প্রতীচীর রক্তিম মিনারে
মিশে যায় লঘুপাখা গতিমান দিনের পাখীরা,
কোকাফ আঁধারে কোন অফুরন্ত রাত্রির দুয়ারে
অকস্মাৎ থেমে যায় নিপুণ যন্ত্রের স্‌নায়ু শিরা;
সম্পূর্ণ অজানা এক পৃথিবীর – প্রান্তরের পারে
টেনে নেয় মুছে দেয় আঁধারের সুতিক্ত মদিরা।।