কর্মীর প্রতি

আত্মপ্রত্যয়ের অগ্নি বন্দী দশা মানে না কখনো,
শিলা প্রতিরোধ ভেঙে প্রাণ-তপ্ত সে তীব্র প্রদাহ
জাগে সুপ্ত পূর্বাঞ্চলে দীর্ণ করি অন্ধ মৃত্যু-ঘন
নিরঙ্কু তুহিন রাত্রি হানি তার জীবনপ্রবাহ।
সে কর্মপ্রবাহ নামে নগরে প্রান্তরে, বনাঞ্চলে,
প্রত্যেক ঘুমন্ত মনে সহসা নামে সে বন্যাবেগে
ভয় পায় ভীরু প্রাণী বিলাস রাত্রির শয্যাতলে;
শুধু দুৰ্গমের যাত্রী সাড়া দেয় সে তীব্র আবেগে!

যে আত্মবিস্মৃত শক্তি ছিল সুপ্ত গোলামী জিঞ্জিরে
আত্মপ্রত্যয়ের মাঠে দিলে তাকে মুক্তির নিশানা,
সুপ্তোত্থিত কণ্ঠ তার তোমার ভাষায় পেল ফিরে
ভাষা; বন্দী বিহঙ্গেরা পেল উর্ধ্বে উঠিবার ডানা
জাগ্রত সত্তার স্পর্শে লক্ষ চিত্তে নিরুক্ত বিস্ময়
জাগে যে প্রভাতি স্বর্ণে- তমারি তো সে আত্মপ্রত্যয়।।