রাত্রিচর

রাত্রিকে দ্বিখণ্ড করি তীক্ষ্ণ খরধার
দীর্ঘ বিলম্বিত এক পাখীর আওয়াজ
কর্কশ পাখার সঞ্চরণ। স্তব্ধতার
চাপা ছুরি ছিঁড়ে আনে নিকষ নিভাঁজ
অরণ্যের বাহু থেকে সঙ্গীহীন ঝড়
নিবিড় রাত্রির স্রোতে শুনি হাহাকার,
জমানো আঁধারে স্তব্ধ রাত্রির মর্মর
স্তব্ধতা, পাখীর স্বর: শোনো শেষবার।

চেয়ে দেখো এইসব সঙ্গীহীন পাখী
গলানো আগুন মাটি সুঠাম সবল
দীর্ঘ রাত্রি বনে বনে ফিরেছে একাকী
পালকে লুকায়ে রেখে প্রচ্ছন্ন অনল
অনেক প্রগাঢ় সন্ধ্যা, আসন্ন বৈশাখী
অসংখ্য মাটির টাল, মাটি ঘোলাজল।।