শাহ গরীবুল্লাহ

যখন কাহিনী তুমি গেয়ে গেলে চলিত জবানে
(মুহব্বত-নামা আর জঙ্গনামা- আমীরের গান)
আবরের ছায়া দেখে যেন মত্ত ময়ুরের প্রাণ
আনন্দে উধাও হ’লে নিমেষে বিস্মৃত মেঘ পানে!

ইউসূফের রূপ দেখে অপরূপ, মোহমুগ্ধ প্রাণে
যেমন সম্বিতহারা মিসরের সহস্র সুন্দরী
চেয়েছিল নিস্পলক; – তৃষ্ণাতপ্ত কর্ণপুট ভরি
শুনিল কাহিনী তার বঙ্গভাষী মুগ্ধ কলগানে।

জীবন্ত ভাষার স্রোতে ভেসে গেল কোথায় তখন
মৃত ভাষা (গুরুভার সংস্কৃতের শিলা জগদ্দল)!
সিন্দাবাদ জাহাজীর স্কন্ধ হ’তে জয়ীফ যেমন
জমিনে লুটায়ে পড়ে দিল ছেড়ে বাধার অর্গল;
চঞ্চল ঝর্ণার মত প্রচলিত ভাষার উচ্ছল
গতিতে উন্মুখ হ’লে বসান্বেষী জনসাধারণ।।