শাহ গরীবুল্লাহর অসমাপ্ত পুঁথি প্রসঙ্গে

অসমাপ্ত পুঁথি দেখে সুমহান ‘আমীর হামজার’
বিস্ময়ে তাকালো শুধু নির্নিমেষ, নির্বাক শায়ের;
অজানা দরিয়া তীরে স্রোতবেগ দেখে সমুদ্রের
যেমন বিস্মৃত দৃষ্টি জেগে ওঠে দু’চোখে মাল্লার।

অথবা কিম্মতি মালা দেখে ঢের অচেনা মুক্তার
জহুরী তাকায়ে থাকে যেমন সম্ভ্রমে, সবিস্ময়ে,
তেমনি বিস্মিত কবি তাকালো সে কাব্যের নিলয়ে;
কল্পনার নভে তার চিত্ত হ’ল পলকে সওয়ার।

কিভাবে তাঞ্জার গড় ছেড়ে বীর আমীর জাহান
পৌঁছান মঞ্জিল রাহা পার হ’য়ে দামেস্ক শহরে
(যেখানে হোমুম বাদশা শাহী চালে বাদশাই করে
চার পাশ ঘিরে যার দুনিয়ার সেরা পাহ্লোয়ান),
কিভাবে জ্বেহাদী বীর সে মুলুকে ফিরে ফতে পান
ভাবিল নবীন কবি এক মনে একাগ্র অন্তরে।।