শরীফ

মানি ইস্‌লামী সাম্য তবুও ছাড়ি না শরাফতি,
গৌরবের নীল রক্ত বহমান প্রত্যেক শিরায়,
সপ্ততল উচ্চতায় ব’য়ে চলে সেই স্ফীত গতি
কখনো নীচের দিকে অহঙ্কারে মুখ না ফেরায়।
যখন আত্রাফকুল প্রতিবাদ করে তীব্রভাবে
শরীফের আভিজাত্য টলোমলো সে ঝোড়ো হাওয়ায়,
তখন নামিতে হয় পড়ি সেই অর্থহীন চাপে
কেতাবী ভ্রাতৃত্ববাদে সহস্র বর্ষের জানাজায়।

আরো এক অসুবিধা কন্যাদের বয়ঃসন্ধি কালে,
শরীফ পাত্রের খোঁজে দীর্ঘদিন অহেতু বিব্রত,
আত্রাফ বংশ দেখি পৃথিবীর সর্বত্র তাকালে
উপযুক্ত ঘর, বর নাহি আর মেলে মন মত;
গভীর হতাশা গর্তে সমাগত গর্বের মরণ
অভিজাত রক্তে দেখি আত্রাফের রক্ত-সংমিশ্রণ।।