সুর

যে সুর সমস্ত রাত্রি বেজে যাবে বাতাসের ছড়ে
দীঘল নদীর মত সারারাত্রি বাজিবে যে সুর,
দৃঢ় তটরেখা পারে জীবনের আগ্নেয় অঙ্কুর
ছড়ায়ে পাবে যে মুক্তি অগ্নিশিখা রাত্রির প্রহরে
তমিস্রা-পাথর পটে কক্ষচ্যুত অজানা বন্দরে
সেই নদী, সেই তারা লুপ্ত মোর মননের মত
নিঃশব্দে বহিয়া চলে আয়োজন করি অবিরত
দিন ও নদীর শেষে অবচেতনায়; ঘুমঘোরে।

তির্যক সর্পিল গতি বহি ক্লিষ্ট বিস্মৃতি-প্রচ্ছায়
অস্তিত্ব হারায়ে চলে আতপ্ত উজ্জ্বল দিবালোকে,
রাত্রির তরঙ্গ-মেঘ যে মুহূর্তে নামিবে সন্ধ্যায়
গোধূলির ক্লান্ত বক্ষে, মুক্তি পাবে ঝলকে ঝলকে
আমার তারার স্বপ্ন, নদী-তীর, শ্রান্ত ঝাউবন,
পীতাভ সূর্যের স্রোতে চলেছিল যার আয়োজন।।