তলপীবর্দার

তোমার গৌরব-সূর্য জ্বলে ভাগ্যে হে তল্পীবর্দার!
এখনো অম্লান তেজে (বিবর্তিত যদিও কাছারি),
পারে না নির্বোধকুল চালাতে দু’মুখো তরবারি
একরোখা গতি নিয়ে মধ্য পথে দেখে গো-ভাগাড়।
তুমি অশ্বতর ধূর্ত পূর্ব হ’তে করিয়া জোগাড়
ঘোড়া ও গাধার মিশ্র প্রতিভায় হও ধাবমান,
মানো না সম্মুখ বাধা মানো না পশ্চাৎ অপমান,
কথঞ্চিৎ গলাধাক্কা সভামধ্যে অপবাদ: ভাঁড়।

সামান্য গ্লানির ভয়ে নাহি ছাড়ো আপন স্বভাব
(বিশেষত যে কারণে সংগৃহীত হয় অন্নজল)
পাত্রের উচ্ছিষ্ট প্রাণে সুর তোলে যেন সে রবাব,
তৈলপাত্র নিম্নে থাকি কল কভু হয় না বিকল,
তলপী বহনের ফলে কোনদিন হয় না অভাব
প্রভু-অনুগ্রহে তাঁর গৃহপ্রান্তে মেলে আস্তাবল।।