ট্রেনে/এক

উত্তর বাঙলার মাঠ পাড়ি দিতে দাড়াল এবার
এক চক্ষু ‘দেও যেন ক্ষুব্ধ রোষে ষ্টেশন প্রাঙ্গণে,
পঁড়াল পিয়াসী দৈত্য আকণ্ঠ তৃষ্ণার প্রয়োজনে,
জানি না, বুঝি না আমি কতটুকু প্রয়োজন তার।
হাজার গ্যালন পানি পায় না তো সে তৃষ্ণার পার,
আরো চায়, আরো চায় (এঞ্জিনের আশ্চর্য পিপাসা),
কত পথ পাড়ি দিয়ে তপ্ত কণ্ঠেবেঁধেছিল বাসা
জানে না সে। জানে না কে পিঠে তার হয়েছে সওয়ার।

আরো অন্তহীন তৃষ্ণা আকণ্ঠ আবেগ বাষ্প ভরা
তৃষ্ণার সঞ্চয় খুজে কত কাল ফিরেছে সে একা,
কত যে মঞ্জিলে, পথে দেখেছে সে কত বাঁকা রেখা
দিগন্তের। দূরান্তর পথে তবু দেয় নাই ধরা
(সে দূরত্ব, অন্ত যার কোন দিন হয় নাই দেখা;
যার কাছে কত ছোট মাটির, মাঠের বসুন্ধরা)।।