বঙ্গউন্নয়ন ট্রাস্ট

মার্কিন রাশিয়া চীন এরা কেউ বাঙলার শত্রু নয়
ক্যাপিটালিজম মার্ক্সিজম আচকান সুরু ট্রাউজার
নৈশরাতে যৌনোৎসব ক্যাবারের ইয়াংকি সংস্কৃতি
পথেঘাটে লোক আর লোককাহিনীর ছড়াছড়ি
কেউ এরা বাঙলার শত্রু নয়, এরা কেউ
সুইচ টিপে বাঙলার উন্নয়ন করে না ব্যাহত

বাঙলার প্রধান শত্রু নিসর্গাবলি
রবীন্দ্র ঠাকুর থেকে রেহানা আখন্দ
সবাই নিসর্গ খায় চোখ বুজে
চুলে গুঁজে রাখে পাতা ফুল বড়োবড়ো গাছ
উদ্যান অরণ্য মাঠ শতশত নদী
চৈত্র বৈশাখ মাঘ শ্রাবণ ফাল্গুনে
সারা বাঙলা জ্ব’লে যায়
লাল নীল বিভিন্ন আগুনে
মোমবাতির মতো গ’লে গাছ
জোনাকির মতো ঢেউয়ের ভেতর দিয়ে উড়ে যায় মাছ
কলসি কাঁখে বঙ্গদেশ থমকে দাঁড়ায় মেঠোপথে
গাছতলে নদীতীরে
তখন বোয়িং ওড়ে অন্যান্য জগতে

ট্রাস্টের হাতে তুলে দাও বাঙলার সমস্ত নদী
খালবিলঝর্নামেঘমালা
বন থেকে বিতাড়িত হোক সব বনবাসী বাঙলার কবিরা
পাখিরা
ঝ’রে গেলে সব গাছ ম’রে গেলে পাখি
তখন বাঙলারে আর কে রাখিতে পারে, তাই
রায়ট রায়ট চাই নিসর্গের বিরুদ্ধে সদাই

আমার বাঙলাদেশে
কোনো গ্রাম আর গাছ থাকবে না
কোনো কবি আর ডাকতে পারবে না নিসর্গের ডাকনাম ধ’রে
প্রেমিক প্রেমিকা কেউ পালিয়ে যাবে না পার্কে
নির্জন পুরানো কান্তারে
তাদের উদ্দাম গাড়ি থমকে দাঁড়াবে
চাইনিজ রেস্তোরার দ্বারে

নিসর্গকে হত্যা করে বাঙলার উন্নয়ন হবে