যাও রিকশা, যাও

যাও রিকশা, যাও, হুমায়ুন আজাদের মন্দির
হুমায়ুন আজাদ, কবি, কবিদের ঠিকানা হৃদয়স্থ রাখতে হয়
সকলের, শুধু কবিদেরই স্থায়ী নিজস্ব ঠিকানা রয়েছে।
এ-মাটিতে এই জলে এ-আগুনে কবি ছাড়া সবাই উদ্বাস্তু ঠিকানাবিহীন,
কবি ছাড়া কে আর নিজের ঘরের মতো দেখে সব ঘর,
এমন সহজে কে আর পাতার সবুজ ছেঁকে গ’ড়ে তোলে মরমী মন্দির!
যাও রিকশা নীল রিকশা সবুজ রিকশা অচিন রিকশা যাও
যে-কোনো গলিতে রাজপথে গৃহহীনতায় নামিয়ে দিলেই
দেখবে আমি স্মিত হেসে ঢুকছি নিজের মন্দিরে
নামাতে পারো তুমি জীর্ণ বস্তিতে ঝলসানো বারান্দার সামনে
আবাসিক এলাকায় পতিতা পল্লীতে দেখবে ঢুকছি স্বমন্দিরে
ধাবমান যানবাহনের মুখোমুখি দিতে পারো আমাকে নামিয়ে
দেখবে গাড়ির টায়ার হেডলাইট দীপাবলি হয়ে গেছে
আমাকে নামাতে পারো হরতালে উদ্যানে মরুভূমিতে
রিকশা নগর আলোকমালা চলচ্চিত্র উড়োজাহাজের সীমানা পেরিয়ে
একটি গাছের সামনে এসে বলতে পারো, ‘আপনার মন্দির, নামুন।’
দেখবে গাছ তার খুলছে দরোজ ঝুলছে জানালায় সবুজ কার্টন
আমার স্থায়ী শয্যা দেখা যাচ্ছে ভেতরে,
যাও, রিকশা, যাও! কবিদেরই শুধু স্থায়ী নিজস্ব ঠিকানা রয়েছে।