স্বপ্নলোকে লুঠতরাজ

প্রত্যহ হচ্ছে চুরি স্বপ্নলোকে, জানালা কপাট এমনকি দেয়ালের
ছিদ্র দিয়ে ঢেকে চোর, অদৃশ্য নৈঃশব্দকুশল,
খোয়া যায় টুকিটাকি জ্যোৎস্না আলো পিলসুজ কাকই কলম চটিজুতো
সিঁধকাঠি দিয়ে ঢেকে সন্ধ্যারাতে ছ্যাচড়া চোর
কান ছিড়ে নিয়ে যায় সোনার কানেট।
যখন ঘুমিয়ে থাকি স্বপ্নহীন বালিশবর্জিত তরুলতা ঝ’রে যায়
বাঙলার লোকালয় থেকে
যখন নিদ্রিত আমি বিপন্ন আমার স্বপ্নলোক।

স্বপ্নলোকে হাস পায় সম্পদসম্ভার
সেইসব গাছপালা
চোখ হাত হারায় নিজস্ব শোভা

বাস্তবতা থেকে আর কতো ধার নেয়া যায়
প্রতিটি নিদ্রার পদ্যে স্বপ্নের বালাদে!
ঘন ঘন বিদ্যৎ বন্ধ হয় স্বপ্নলোকে
স্নানাগার পড়ে থাকে জলহীন মরুভূমি
তবু হৈহৈ ঢোকে চোর কুটিল দুঃসহ
দ্রুত ট্রাকে নিয়ে যায় সব সৌধ কালো চোখ নদী ও নগর।

দিন দিন বিবর্ণ হয়ে ওঠে মানসসুন্দরীর লিপস্টিক
নেলপালিশ
কেশের বিন্যাস
দিকে দিকে রাষ্ট্র হয় ষড়যন্ত্র: শত্রুর উল্লাস।