হেলেনা

নতুন নাতিনী, সুচারুহাসিনী, মধুর ভাষিনী ললনা,
হলুদে চুনেতে মিশাতে কিছুতে হয় না তাহার তুলনা।
তাহার নাসাতে কি যেন ভাষাতে ভোমর গাহিছে গহনা,
যুগল আঁখির কাজলদীঘির নীরে বিজলির নাহনা।

জোড়া সে ভুরুতে যুগল ধনুতে চাহনী-তীর যে যোজিত,
যাহার উপরে হানিবে সেহরে হইবে জীবনে বধিত।
যুগল মালিকা গেঁথেছে বালিকা যেন বা দুইটি বাহুতে,
হেরি অধরিমা মুখ-চন্দ্রিমা হয়তো গ্রাসিবে রাহুতে।

চলনে বলনে ছলনে খেলনে ঝলকে পলকে কবিতা,
পাহাড় গলিত নাহার নাচিত যদিবা শুনিত কিছু তা।
যদি সে আকাশে দাঁড়াত সহাসে চাঁদ এসে দশ নখেতে,
দশ গ্রহে তারা আলোকের ধারা ছড়াত মনের সুখেতে।

উড়ুয়া জাহাজে চড়ি না তাই যে গাটের পয়সা ভাঙিয়া,
তাহারে দেখিতে যাই যে চকিতে সুদুর আকাশে উড়িয়া।
সে যাহার গলে ও বাহুযুগলে পরাবে প্রণয়মালিকা,
কি তার সাজারে ঘুরিবে বাজারে লইয়া দ্রব্যতালিকা,

হংসগামিনী টলে যে মেদিনী তাহার পায়ের আঘাতে,
যে দেখে তাহারে মরে সে আহার তাহার রুপের প্রভাতে।
নামেতে হেলেনা কথা যে মেলে না বাখানিতে তার গীতি হে,
কবি হীনমতি মানি অখ্যাতি এখানে লিখিনু ইতি যে।