নাম

নাম হয়ে সে নিল বাসা মনের আড়ালে,-
যখন খুসী পায় তারে প্রাণ বাহু বাড়ালে;
দিনের কাজের ফাঁকে-ফঁকে,
আঁধার রাতের পাকে-পাকে-
জড়ান’ সেই নামের মালা- যায় না ছাড়ালে!

গান হয়ে সে বাজে কানে সুরে ও ছন্দে,
নাসা আমার ভরে উঠে নামের সুগন্ধে;
পরশটী তার স্নেহ বুলায়,
দৃষ্টি তারি নয়ন ভুলায়,
জিহবা সে নাম জপের মধু পিয়ে আনন্দে।

রূপ যা আছে- ফুটে’ উঠে নামের আখরে,
অগ্নিশিখায় স্বর্ণ মিলায় বর্ণ যা করে’;
নামের সুধা-গন্ধ পিয়ে
গুণ- সে উঠে গুণগুণিয়ে;
নামের বলক উঠে ধরার রসের সাগরে।

বুক ভরে’ নাম স্মরণ করি, মুখ ভরে’ নাম বলি,
কভু ডাকি আলিঙ্গনে কভু কৃতাঞ্জলি;
সেবায় কভু পুরিয়ে নি সাধ,
অভিমানে দিই অপরাধ,
যখন যা চাই- নাই পরিবাদ নাইক ছলাছলি!

কিরূপ সেরূপ- চকু কভু চায় না জানিতে,
নামের মাঝে নামের বালাই টেনে আনিতে;
জানি শুধু বুকের মাঝে
সুরে সুরে সারং বাজে-
ব্যাথার মত নিবিড় তারি নামের বাণীতে।

তোমরা লহ আর সকলি, আমারে দাও নাম,
ইষ্টমন্ত্র থাকুক সে মোর বক্ষে অবিরাম;
কার সাথে কার কি সম্বন্ধ,
নাইক কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব;
আমার শুধু আনন্দ তার নামটি অভিরাম!