বসিয়া বিজনে কেন একা মনে

বসিয়া বিজনে কেন একা মনে
পানিয়া ভরণে চলো লো গোরী।
চলো জলে চলো কাঁদে বনতল,
ডাকে ছলছল জল-লহরি।।

দিবা চলে যায় বলাকা-পাখায়,
বিহগের বুকে বিহগী লুকায়!
কেঁদে চখা-চাখি মাগিছে বিদায়
বারোয়াঁর সুরে ঝুরে বাঁশরী।।

সাঁঝ হেরে মুখ চাদ-মুকুরে
ছায়াপথ-সিঁথি রচি চিকুরে,
নাচে ছায়া-নটী কানন-পুরে
দুলে লটপট লতা-কবরী।।

‘বেলা গেল বধূ’ ডাকে ননদী,
চল জল নিতে জাবি লো যদি,
কালো হয়ে আসে সুদূর নদী,
নাগরিকা-সাজে সাজে নগরী।।

মাঝি বাঁধে তরী সিনান-ঘাটে,
ফিরিছে পথিক বিজন মাঠে,
কারে ভেবে বেলা কাঁদিয়া কাটে
ভর আখি-জলে ঘট গাগরী।।

ওগো বে-দরদি, ও রাঙা পায়ে
মালা হয়ে কে গো গেল জড়ায়ে!
তব সাথে কবি পড়িল দায়ে
পায়ে রাখি তারে না গলে পরি।।

[ইমন-মিশ্র গজল-কাহার্বা]