কোন্ সুদূরের চেনা বাঁশীর ডাক শুনেছিস্ ওরে চখা?
ওরে আমার পলাতকা!
তোর প’ড়লো মনে কোন্ হানা-ঘর,
স্বপন-পারের কোন্ অলকা?
ওরে আমার পলাতকা।।
তোর জল ভরেছে চপল চোখে,
বল কোন্ হারা-মা ডাকলো তোকে রে?
ঐ গগন-সীমায় সাঁঝের ছায়ায়
হাতছানি দেয় নিবিড় মায়ায়-
উতল পাগল! চিনিস্ কি তুই চিনিস্ ওকে রে?
যেনবুক-ভরা ও গভীর স্নেহে ডাক দিয়ে যায়, “আয়,
ওরে আয়, আয়, আয়,
কোলে আয় রে আমার দুষ্টু খোকা!
ওরে আমার পলাতকা।।”
দখিন্ হাওয়ায় বনের কাঁপনে-
দুলাল আমার! হাত-ইশারায় মা কি রে তোর
ডাক দিয়েছে আজ?
এতদিনে চিন্লি কি রে পর ও আপনে!
নিশিভোরেই তাই কি আমার নামলো ঘরে সাঁঝ?
ধানের শীষে, শ্যামার শিসে-
যাদুমণি! বল্ সে কিসে রে,
তুই শিউরে চেয়ে ছিঁড়্লি বাঁধন!
চোখ-ভরা তোর উছলে কাঁদন রে!
তোরে কে পিয়ালো সবুজ-স্নেহের কাঁচা বিষে রে!
যেন আচম্কা কোন্ শশক-শিশু চম্কে ডাকে হায়,
“ওরে আয় আয় আয়-
বনে আয় ফিরে আয় বনের সখা।”
ওরে চপল পলাতকা।।
[বাউল- দাদ্রা]