মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে

কবির কাব্যলক্ষ্মী আনমনে কপোলে ঝুম্কো-চাপার পরশ বুলাতে বুলাতে গোলাপ-লতার বুলবুলির পানে চেয়ে থাকে। বাহিরে-পাওয়ার ব্যর্থতা তার মনে তোলে অশান্তির ঝড়। তাই সে তার সুন্দরের বিগ্রহ অন্তর-দেউলে প্রতিষ্ঠিত করে আনন্দ পেতে চায়। বাহিরের সুন্দর ঘুরে বেড়ায় বাহির-ভুবনে; অন্তরের সুন্দরের চরণ নেই-নিশ্চরণ চারণকে বাঁধবার এই বোধ হয় সহজতম উপায়। তাই সে তার সুন্দরের অনুনয়ের বিনিময়ে গেয়ে ওঠে-

[গান]

মন দিয়ে যে দেখি তোমায়
তাই দেখিনে নয়ন দিয়ে।
পরান আছে বিভোর হয়ে
তোমার নামের ধেয়ান নিয়ে।।

হৃদয় জুড়ে আছ বলে
এড়িয়ে অলি নানান ছলে;
আছ আমার অন্তরে, তাই
অন্তরালে রই লুকিয়ে।।

আমার কথা শুনাই না গো
তোমার কথা শোনার আশায়;

ভরে আছে অন্তর মোর
বন্ধু তোমার ভালোবাসায়।

তোমায় ভালো বাস্তে পেরে
পেয়েছি মোর আনন্দেরে,
অমর হলাম প্রিয়, তোমার
বিরহেরই সুধা পিয়ে।।