প্রিয়ে! বলি ও প্রিয়ে! তুমি দেখ!

প্রিয়ে … বলি ও-প্রিয়ে … তুমি দেখ …।
[কাঁপা-কন্ঠে আবৃত্তির ঢঙে বলা হয়েছে]

পুরুষ: প্রিয়ে! বলি, ও প্রিয়ে! তুমি দেখ!
দেখ বিরহের দাবানল জ্বলে গোঁফ-দাড়িতে।
স্ত্রী: ও-স’রে যা, সে আগুন লেগে যাবে শাড়িতে॥

পুরুষ: একে ভীষণ ফাগুন মাস
স্ত্রী: ওগো তাই বুছি হাঁসফাঁস?
পুরুষ: কাপাস ফলের মত ফেটে পড়ে হিয়া গো,
স্ত্রী: প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে ছড়াইয়া গো,
উভয়ে: রব্ ওঠে ভোঁস্-ভাঁস্ হৃদি-রেলগাড়িতে॥

পুরুষ: আজি এ বিরহের কাঠ-ঠোক্রা, ঠোক্রায় প্রেমের টাকে,
স্ত্রী: ওগো এ হেন বেয়াধি হলে টাকে, মধ্যম-নারায়ণ তেল মাখে।
পুরুষ: হায়-হায়-হায়-হায়-হায়
আমাদের মাঝে কে রচিবে মিলনের সাঁকো।
স্ত্রী: থাক্ থাক্, পুরুতঠাকুর ইঞ্জিনিয়ার
তারে তাড়াতাড়ি ডাকো, ডাকো, একবার ডাকো না?
উভয়ে: আগুন লাগিল ওরে দাড়ি আর শাড়িতে
যুগল মিলন হ’ল ধেড়ে আর ধাড়িতে॥