জীবনে তুমিই শুধু স্নিগ্ধ জলাশয়

এই ধু ধু শূন্যতায় শুধু তোমার স্নেহের হাত ছাড়া
কোথাও কিছুই নেই,
যেদিকে তাকাই শূন্য মরুভূমি
কেবল শূন্যতা;
শুনি না কোথাও একটু সজল কণ্ঠ
দেখি না প্রীতির ছায়া শূন্যতায় ফিরে আসে
নিজেরই কর্কশ রুক্ষস্বর
নিজেরই উদ্ভট ছায়া ঘিরে থাকে শুধু
এই শূন্যতার মাঝে, ঘোরে দুঃসময়ে
মমতায় বাঁচিয়ে রেখেছো তুমি,
তুমিই রেখেছো ভরে জীবনের শূন্য পাত্রখানি;
তোমারই অপার স্নেহে স্নিগ্ধতায়
এই শুষ্ক তরু পল্লবিত
হয়েছে আবার
আবার ফুটেছে ফুল তোমারই
সযত্ন কেয়ারিতে;
আমি আজ ভালো করে বুঝি এই দারুণ খরায়
এই দগ্ধ মরুতে
তোমার ভেতর এই অপার্থিব মরূদ্যানখানি
না পেলে এখন
আমার অস্তিত্ব নিশ্চিত বিলুপ্ত হয়ে যেতো।
তুমি অনন্ত আকাশ আর উদার বৃক্ষের মতো
আমার মাথায় বিছিয়েছো ছায়া,
আজ জীবনের এই রূক্ষ মরুর ভেতর তুমি শুধু
একমাত্র স্নিগ্ধ জলাশয়
তুমি শুধু শ্রাবণের একখণ্ড মেঘ, তুমি শুধু মর্মে
বয়ে-যাওয়া এক
স্বচ্ছতায়া নদী
এই শূন্য জীবন কেবল ভরিয়ে রেখেছো তুমি,
ভরিয়ে রেখেছো তুমি।