যদুবংশ ধ্বংসের আগে

এ কী বৈরী যুগে এসে দাঁড়ালাম আমরা সকলে
সূর্য নিয়ত ঢাকা চিররাহৃগ্রাসে, মানবিক
প্রশান্ত বাতাস এখন বয় না কোনোখানে
শুধু সর্বত্র বেড়ায় নেচে কবন্ধ-দানব;
তাদের কদর্য বেড়ায় নেচে কবন্ধ-দানব;
তাদের কদর্য চিৎকারে ফেটে যায় কান,
চোখ হয়ে যায় কী ভীষণ রক্তজবা, সহসা
দিগন্ত জুড়ে নেমে আসে ঘোর সন্ধ্যার আঁধার।
কিছুই যায় না দেখা চোখে, নিঃশ্বাসও
হয়ে ওঠে পাথরের মতো ভারী, যেন কোনো
পাতালপুরীতে পড়ে আছি নিঃসঙ্গ কয়েদী;
এখানে সতত দেখি কোনো এক
দ্বিপদ প্রাণীর বিচরণ, মানুষের মতো, কখনো
মানুষ নয়, এই ছায়া-মানুষের পাশে
দিন কাটে, রাত্রি শেষ হয়, পাই না তৃষ্ণার
এক ফোঁটা জল, একটু শীতল ছায়া,
মনে হয় কোনোদিন নিভবে না এই দোজখের নৃশংস আগুন।
এ কোন ঘাতক-যুগে এসে দাঁড়ালাম আমরা সবাই,
তবে কি এসব কিছু যদুবংশ ধ্বংসেরই আগের নিশানা।