জলের কারুকাজ

আমি জেনে শুনেই, জেনে শুনেই
পদ্য লেখার প্রথম পর্বে,
হয়তো দুঃখে, হয়তো গর্বে
হয়তো থেকেই মাতৃগর্ভে
জেনেছি এই চক্রব্যুহ, জেনেছি এই বিষম যুদ্ধ
অন্যায় এবং কী অশুদ্ধ,
জতুগৃহে অবরুদ্ধ, এর বেশি কী বলার আছে!
তবু আমি একটি প্রিয় পাখির কাছে
নদী, আকাশ, বনের কাছে,
কানে কানে বলেছি এই পদ্য লেখার বিড়ম্বনা
থাকবে না ঠিক একবিন্দুও শিশির কণা,
বরং আরো হিংস্র সাপ তুলবে ফণা;
তাই কি আমি জেনে শুনেই কিংবা না জেনে না শুনে কিছুই
ডেকেছিলাম বকুল কি জুঁই
কোনখানে কোন বিদেশ-বিভুঁই
সে-সব কোনো কিছুই তো নয়,
পদ্য লেখার এই বর্ণ, এই পরিচয়
হয়নি মোটেও; শঙ্কা ও ভয়
ছিলোই সারা মনটা জুড়ে
তাই কি এমন একলা ঘুরে, একলা ঘুরে
বলেছি খুব মৃদু সুরে এ আমারই
জলের কারুকাজ;
আজ, সবার চেয়ে আমিই বুঝি আজ
আমার প্রথম পাণ্ডুলিপির
নামের মতোই লেখালেখি এ যে নেহাত
কোমল জলের মিলিয়ে যাওয়া
অলীক কারুকাজ।

২৪.৫. ৯৩