আদিম

আদিম দ্রাবিড়তার যুগ হয়েছে উত্তীর্ন,
আমাদের ক্রমবিবর্তন হয়েছে আকীর্ন।
হাতে পাথরের টুকরার পরিবর্তে
এসেছে আনবিকতার চরম সার্থকতা
পশুর উদ্ভট চিৎকার স্বর
বিলুপ্ত হয়ে এসেছে সুলালিত্য বোধগম্য ভাষা।
হৃদয়ের পাষানহীন চূড়ায়
ধীরে ধীরে জমেছে শুভ্র আশা।
চরনের রূঢ় পদক্ষেপে তবু আজো আমরা
মাড়াই তাজা রক্তাক্ত কংকাল,
আজো ভরে রেখেছি যত্ন করে
সুমার্জিত গৃহে মোদের জঞ্জাল।
আজো অন্ধকারের বুকে আমরা
নিবিড় সচ্ছন্দে নিদ্রাপ্লুত হই,
আজো দ্রাবিড় যুগের দুর্গন্ধময়
শবদেহগুলি নির্বিঘ্নে বই।
পুরানো ভিতের বাড়িটি আর
প্রয়োজন হয়নি ভাঙ্গার,
তাই ভাঙ্গা ঘরটির উপর
আয়োজন করছি দ্বিতল কোঠা তৈরীর।
পুঁজ ঝরা দেহের ক্ষত স্থানে
সুসজ্জিত অলংকার রেখেছি
সুগন্ধময় সৌরভিত করে।
আশ্চর্য সেই আদিম দ্রাবিড়ঃ
শতাব্দী; তারপর বিংশ যুগ
তারা কাঁচা মাংশ খেতো
আমরা খাই তাজা রক্ত
তাদের চেয়ে আমাদের বিভৎস দস্তগুলোই অভিজ্ঞ
কি করে অসহায়ের বুকে
দাঁতের বিষ ঢুকিয়ে
লালিত্য সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে
রক্ত শোষার নব প্রবর্তনের।
সত্যি আশ্চর্য! সেই দ্রাবিড়ঃ
এই চাঁদের মানুষ অথচ
পার্থক্য নেই এতটুকুও।