আগুন ও বারুদের ভাষা

প্রত্যেকবারই তুমি বন্দুক তুলছে,
আমার তৃষ্ণার্ত হৃদ্পিণ্ড লক্ষ্য কোরে।
গনতন্ত্রের মহান ভনিতায় ডুবে থেকে
আমি কি এখনো পেতে দেবো আমার হৃদয়?

আমি জানি, সম্মিলিত মানুষের চেয়ে
কখনোই বেশি নয় অস্ত্রের ক্ষমতা।
আমি জানি, মিলিত মানুষ হচ্ছে পৃথিবীর
প্রকৃত প্রকাশ-
তবু আর কতোবার ‘গনতন্ত্র মুক্তি পাক’ বুকে লিখে
বুলেটের সামনে দাঁড়াবো?
হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে যাবে বারুদের ক্ষমাহীন বিষ।

আমি জানি, মিছিলে যাবার দিন আজ শেষ,
(তবু এখনো মিছিল চলে ঝলোমলো রাজপথ জুড়ে)
আমি জানি, গনজমায়েত আজ আর
স্বৈরাচারের অনিবার্য আতংক নয়।
(তবু আজো জমায়েত জ’মে ওঠে মিনারের পাদদেশে)

বদলে গিয়েছে দিন,
বদলে গিয়েছে আজ প্রতিবাদের প্রসিদ্ধ ভাষা-

দক্ষিন সমুদ্রের মতো আজ আমাকে প্লাবন হতে দাও,
হতে দাও অপ্রতিরোধ্য বিপুল টাইফুন।
এখন আমাকে মুখোমুখি হতে দাও চিহ্নিত শত্রুর,
হাতে তুলে নিতে দাও সম্মিলিত মানুষের বিক্ষুব্ধ হৃদয়,
আর তার সঠিক প্রতীক- আগ্নেয়াস্ত্র।

বুলেটের বিরুদ্ধে আমাকে আজ
হাতে তুলে নিতে দাও আগুন ও বারুদের ভাষা।।

২৬.১০.১৩৯৪ মোংলা বন্দর