ঝরাপাতা তুষের আগুন

অর্ধেক জীবন গেলো ঝরাপাতা তুষের আগুনে।
জীবনের ক্ষত-মাংশে উড়ে আসে লুব্ধ মাছি, কালো কীট

কুরে খায়, কুরে কুরে খায়-
আমি তবু পচনের এই পুঁজ বুকে রেখে জেগে থাকি কেন?

আমিও কি রুগ্ন পাতা? তবে আমিও কি নষ্ট দেহ
জীবনের মাটি থেকে ছিড়ে আনা ছিন্নমূল বৃক্ষ শিশু?
অর্ধেক জীবন গেলো- হায় আমিও কি ঝরাপাতা
তবে আমিও কি ব্যর্থপ্রান
যোজন যোজন জুড়ে প’ড়ে থাকা বালুচর, নদীর কফিন!

প্রসন্ন আলোর দিকে যে-হৃদয় রয়েছে তাকিয়ে,
যে-হাত পাথর কাটে আঁধারের, বোনে বীজ নোতুন ফসল
তারাও কি ব্যর্থ তবে, তারাও কি জীবনের ব্যর্থ রক্তপাত!
হে বিশ্বাস-হেম, তবে আমিও কি ব্যর্থগান, বিফল বাসনা?

এ-কেমন মৃত্যুময় শ্মশানজীবন!
হৃদয়ের রক্ত, ঘাম, ধুলোবালি মুছে শুধু প্রহর ফুরায়,
বিষণ্ণ শাখায় শুধু ফুটে থাকে গন্ধবহীন করুন কুসুম!

হায়, আমিও কি ব্যর্থগান, তবে আমিও কি ব্যর্থ রক্তপাত?

(১৪ শ্রাবন ১৩৮৫, সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা)