খেলাধুলার সরল অংক

একবারও না হেরে তুমি সবটা জিততে চাও-
অথচ তোমার হাতে সবচেয়ে ছোট তাস, রঙ
একটাও নেই। নেই বাদশা বা বিবি, অধিনস্থ
নিতান্ত গোলাম কেউ, অন্য হাতে টেক্কার টক্কর।

প্রতিবার জিতে যেতে চাও তুমি প্রতিটি খেলায়,
মন্ত্রি নেই, নিহত ঘোড়ারা, একখানা মাত্র হাতি,
টলোমলো নৌকাখানা, ছত্রভঙ্গ ব’ড়ে সাধারন-
তবু তুমি জিতে যাচ্ছে, আমি শুধু হারছি, হারাচ্ছি।

হেরে যাচ্ছি- হাতে টেক্কা, বড়ো তাস, খেলতে পারিনি,
এক কোনে মন্ত্রি স্থির, সেনাদল নিরস্ত্র, নিশ্চল।
হেরে যাচ্ছি- ইনসুয়িং ভেঙে দিচ্ছে মধ্য স্ট্যাম্প, বেল
ফেলে দিচ্ছে ক্ষীপ্র কিপারের হাত, ব্যাট উঠছে না।

ক্রমাগত হেরে যাচ্ছি, জিতছো তুমিই শুধু একা,
খৃস্টপূর্বাব্দের কোনো এ্যারেনায় যেন হলো দ্যাখা-
মুখোমুখি, চোখে চোখ, বিন্দু বিন্দু ঘামের শিশির
আরক্তিম গালে ও কপালে, উড়ন্ত ডানার মতো
ভুরু, হাতে ঝলসাচ্ছে শেষ খেলা, জীবন বা মৃত্যু।

মুহূর্তে স্পর্শের খুব কাছাকাছি দুই জোড়া চোখ,
হৃদয়ের নিকটবর্তী হৃদয়, দুরু দুরু বুক,
নিশ্বাসের ঘ্রান পাচ্ছি, কেঁপে ওঠে তোমার দু’ঠোঁট-
‘ভালোবাসি, মানব জনম সাক্ষী ভালোবাসি।’ আমি
সমস্ত খেলায় এই একবার বিজয়ী হলাম।।

২৮.১০.১৯৯৬ মিঠেখালি, মোংলা